ক্যাফেটরিয়ার অনিয়ম এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচার নিয়ে সাংবাদিক ও ক্যাফেটরিয়া ব্যবস্থাপক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দিচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রক্টর দপ্তরে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম প্রক্টর দপ্তরে আবেদন জমা দেয় নিজের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়া পরিচালনা প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্স এর ম্যানেজার আলামিন খানের বিরুদ্ধে জীবন নাশের হুমকির বিচারের দাবিতে। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্যাফেটরিয়া নিয়ে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে ক্যাফেটরিয়া ম্যানেজার আলামিন খান জীবননাশ এবং সাংবাদিক সমিতি সংগঠনকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।
তবে উক্ত আবেদনে, কবে, কোথায়, কখন আল আমিন খান কর্তৃক আশরাফুল আলমকে হুমকি প্রদন করা হয় তা উল্লেখ করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর উপচার্য দপ্তরে নিজের নিরাপত্তা ও ক্যাফেটেরিয়া সংক্রান্ত ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আবেদন প্রদান করেন খান ট্রেডার্সের ক্যাফেটেরিয়া ব্যবস্থাপক আল আমিন খান।তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম সাংবাদিক পরিচয়ে এবং একইসাথে শেখ রাসেল হলের ডাইনিং পরিচালক তুহীন শান্ত আমাকে ক্যাফেটরিয়ায় গিয়ে হুমকি প্রদান করে। তারা ক্যাফেটরিয়া নিবেন বলে আমাকে ক্যাফেটরিয়া ছেড়ে দিতে বলে। তিনি আরও বলেন, আশরাফুল আলম এমন সংবাদ ছড়িয়েছেন যে ক্যাফেটরিয়ার বন্ধ হয়ে গেছে যেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। একারনে আমার ব্যবসায় অত্যধিক লোকসান হয়েছে গত কিছুদিন যাবৎ।
এদিকে আশরাফুল আলমের প্রক্টর দপ্তরে জীবননাশের হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন প্রদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আল আমিন খান উপচার্য দপ্তরে তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা দেয়ার ঘণ্টা খানেক (১১ সেপ্টেম্বর দুপুরের) পর। যেটা আশরাফুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় নিয়ে আসেন। সম্প্রতি উদ্বুদ্ধ ঘটনায় আরো একটি আবেদন জমা হয় আজ ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর নাগাদ প্রক্টর দপ্তরে। যেখানে আল আমিন খান আবেদন করে বলেন, আমার বিরূদ্ধে আশরাফুল আলমের আনিত অভিযোগে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি সেদিন গোপালগঞ্জেই ছিলাম না, নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। তাদের গুজব ছড়ানোয় আমার ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং তাদের মাধ্যমে আমি হামলার স্বীকার হতেপারি বলে নিরাপত্তা কামনা করছি।
উক্ত অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: কামরুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আমরা উক্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবো। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হাওয়া ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।