মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ (পিরোজপুর) স্বরূপকাঠীঃ
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউপিতে তুচ্ছ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ নং ওয়ার্ডে বলাই হাজি বাড়ির নির্যাতনের শিকার একই পরিবারের সান্টু, সান্টুর স্ত্রী হাফিজা, মেয়ে সালমা ও ছেলে আজিম।
থানায় লিখিত অভিযোগে যানা যায়, একই বাড়ির রফিকের বিবাহিত মেয়েকে নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় সান্টুর স্ত্রী সালমার সাথে। ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার খুব ভোরে সান্টুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে জুতা পেটা করে রফিক। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলেই শালিশ বৈঠকের আশ্বাস দেন রফিকের ছোটো ভাই সান্টু ও গরু ব্যবসায়ী ফারুক।
নির্যাতনের শিকার ডুবুরির কাজ করা সান্টু জানান, এ ঘটনার আধা ঘন্টা পরে ডুবুরি কাজের অক্সিজেন মেশিনের যন্ত্র কেনার জন্য ৫০ হাজার নিয়ে রওয়ানা দেই। বাড়ির মধ্যে রফিকের আরেক ভাই নজরুল ইসলাম নজুর ঘরের সামনে বসে পুনরায় আমাকে রফিক ও নজু মারধর শুরু করে আমার পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমার স্ত্রী সন্তানরা আমাকে বাচাতে আসলে রফিক ও তার স্ত্রী, মেয়ে সাবিনা, খাদিজা, রাহিলা, রুনু, মানসুরা, নজু ও তার মেয়ে লামিয়া সনিয়া ও মুনিয়া বেধরক লাঠি দিয়ে পিটায় ও পরনের কাপড় খুলে ফেলে। আমি বার বার রফিকের পা ধরে আকুতি করে ওদের মারতে নিষেধ করলেও রফিক আর নজু ওদেরকে আরো উসকিয়ে দেয়। বাড়ির প্রায় মানুষ এ ঘটনা দেখলেও রফিক ও নজুর ভয়ে কেহই আমাদের বাচাতে এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে আমি সহ আমার পরিবার রাস্থায় পরে থাকলে ওরা মার বন্ধ করে।
ছান্টুর স্ত্রী হাফিজা তার বামকাধে কামড়ের চিহ্ন সহ শরীরের বিভিন্য স্থানে মারের জন্য নিলাফুলা হওয়া দেখিয়ে বলেন, মেয়েকে যেসব স্থানে মেরেছে তা দেখানো যায়না। ওর আঘাত আমার চেয়েও ভয়াবহ।
তিনি আরো জানান, স্বরুপকাঠি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ থাকায় আমাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে।
তদন্ত অফিসার মনমত হালদার নবধারা কে বলেন, আমি তাৎক্ষনিক ওই স্থান পরিদর্শন করি।উভয়পক্ষকে শুক্রবার থানায় আসতে বলি। কিন্ত অভিযোগকারিরা উপস্থিত হলেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কেহ আসেনি।
অভিযোগের ব্যাপারে রফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আঘাত করার কথা স্বীকার করেন।
নবধারা/বিএস