কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় ৭ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে স্বামীর ভাড়া বাড়িতেই আত্মহত্যা করলেন ইতিমনি (২০) নামে এক গৃহবধু। তবে তাকে হত্যার দাবী করছেন গৃহবধুর মা বাবা। কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে বুধবার বিকাল সাড়ে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে স্বামীর ভাড়া বাড়িতে ।
এলাকাবাসী থেকে জানা যায় যে,প্রায় ২ বছর পুর্বে কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের আলামিন মোল্লার মেয়ে ইতিমনির সংগে ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ গ্রামের মৃত নজরুল সেখের পুত্র বাবু সেখের সংগে বিবাহ হয়। এলাকাবাসী আরও জানায় যে, আমরা এই বাড়িতে যারা ভাড়া থাকি তারা প্রায়ই শিশুটির কান্না টের পেলে আমরা এসে শিশুটিকে কোলে নিয়ে কান্না থামিয়ে দেয়। প্রতিদিনের ন্যায় আজ বুধবারও শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ অথচ শিশুটি কাদঁছে,আমরা দরজা খুলেই দেখি ইতিমনি ঘরের আড়ার সংগে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে আর ছোট শিশুটি পাশে কাঁদছে ঘরে আর কেহ নাই। আমরা ডাক চিৎকার দিয়ে দ্রুত ইতিমনির মরদেহ নামিয়ে আনি।
কচুয়া থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ মনিরূল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে,আমি জানতে পারি গজালিয়ায় ১জন গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে, আমি খবরটি শোনা মাত্র সেখানে যায় এবং আমার অফিসার দিয়ে লাশ সুরাতহাল করি এবং পরে লাশ উদ্ধার করে গজালিয়া ক্যাম্পে রেখে আসি। লাশ ময়না তদন্ত করার জণ্য আগামীকাল বাগেরহাট মর্গে প্রেরন করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
তবে গৃহবধু ইতিমনির বাবা আলামিন মোল্লার আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আমার জামাই মারপিট করতো, আজ ও আমার মেয়েকে মারপিট করে হত্যা করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাগছে। কচুয়া থানায় ইতিমনির বাবা জামাই বাবু সেখের নামে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।