নবধারা ডেস্কঃ
রহস্যজনক কারণে নবধারা অনলাইন পত্রিকার নাজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম জিসান ৩ দিনের কারাবাস শেষ করে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
গত শনিবার ২৪ এপ্রিল নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম জিসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি হ্যাকের বিষয়ে নাজিরপুর থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসারের রুম থেকে তাকে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জিসানের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। ২৭ তারিখ বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পিরোজপুরের আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
এ ঘটনায় নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ সহ কয়েকশো নেতা কর্মী থানায় গিয়ে জিসান কে গ্রেফতার করার কারণ জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম প্রথমে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, “উপর মহলের চাপ আছে তাই আটক করা হয়েছে।”
তৌহিদুল ইসলাম জিসান জানান, আমার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কারণে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ নাজিরপুর থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসারের রুম থেকে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম আমাকে তার কক্ষে ডেকে নেন এবং বলেন, “তোর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে তুই ওমুক যায়গা মারামারি করেছিস তুই এক নম্বর আসামী” এটা বলে সে আমার সাথে প্রাথমিক অবস্থায় খুব দুর্ব্যবহার করেন। পরে একজন এস আই কে ডেকে আমাকে লকআপে ঢুকিয়ে রাখেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসের (আনারস প্রতীক) বিরোধীতা করায় এ মামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মামলার অন্য ৪ আসামি পলাতক রয়েছে।
নবধারা/বিএস/এমএইচ০০৭