বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : আহাদুল ইসলাম জয়
একদিকে শিক্ষক সংকট আরেকদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ সেশনজটে ভুগছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি)আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।এ নিয়ে বছরের পর বছর সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেও মিলেনি কোনো সমাধান । এতে করে একাডেমিক অগ্রগতি ব্যহত হওয়ায় ফলাফল প্রাপ্তিতে ও চাকরির বাজারে পিছিয়ে পরছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিভাগটির ৫ ব্যাচের ১৭০জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে। অন্যান্য ৩ জন খণ্ডকালীন শিক্ষকের অস্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন হলেও দাফতরিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে সেই নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হলেও, আর্কিটেকচার বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চলতি মাসে তৃতীয় বর্ষ শেষ হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে থাকার কথা থাকলেও তারা পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে। আবার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গত ২ বছর ধরে অধ্যায়ন করছে প্রথম বর্ষে। এছাড়া তাদের প্রথম বর্ষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গত ডিসেম্বরে প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলেও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পাঠদান শুরু হয় চলতি মাস থেকে। পাশাপাশি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠদান গত নভেম্বরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় চলতি মাস থেকে। এতে তিন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ থাকা ও তাদের ডিজাইনের কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের মতো বাস্তব ধর্মী বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও তারা পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ না পাওয়ায় আশাহত হচ্ছেন। তারা চলমান সংকট সমাধানের দাবিতে দশবারের বেশি সময় উপাচার্যের কাছে গেলেও তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে গেলেও তিনি যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন,শ্রেণিকক্ষের অভাবে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসতে দিতে না পারা ও শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আমদের কমিটি আছে। তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, আমরাতো এসব সংকট সমাধানে কাজ করছি। কিন্তু ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশ বেয়াদব। তারা তাদের দাবি আদায়ে আমাকে ও উপ-উপাচার্যকে আটকে রেখে আন্দোলন করতে চায়। বিষয়টি বেমানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.