নীলকন্ঠ বাকচী, বিশেষ প্রতিবেদক
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা হিসেব নিকেশ। শুরুতেই যেসব প্রার্থিতার নাম শোনা গেছে তারা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বুলেট কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম মাহামুদ হক।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান বিশ্বাসের ছোট ভাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে দিলে এ নিয়ে উপজেলায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। তাহলে কি দুই ভাই প্রার্থী হবেন বিশ্বাস পরিবারের ? বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস দিল্লিতে চেকআপ করানোর জন্য গেলে দিল্লির চিকিৎসক তাকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দেন। তিনি অসুস্থতার কারণে নির্বাচন না করবার ঘোষণা দেন।। তার বাড়িতে এক উঠোন বৈঠকে প্রার্থী হিসেবে তিনি ছোট ভাই বি এম মাহমুদুল হকের নাম ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গাজী আজ শনিবার রাতে নির্বাচনে প্রার্থী না হবার কথা নবধারাকে পরিস্কার ভাবে জানিয়েছেন।
এবারে নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ গত নির্বাচনে ২৮ ভোটে পরাজিত হবার পর পুরো পাঁচ বছরই সুকৌশলে জনগণের সাথে রয়েছেন। এবার তার নির্বাচনী মাঠ শতভাগ গোছানো।তবে তার নিজের গ্রাম খোদ শ্রীরামকান্দীতে তাকে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে তিনি গিমাডাঙ্গা গ্রামের ঐক্যে প্রথম বারের মতো ফাটল ধরাতে সক্ষম হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচার প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন।উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যুব সমাজ তার মুল শক্তি।
মোঃ সোলাইমান বিশ্বাস প্রার্থী না হবার ঘোষণা দেওয়ার পর তার ছোট ভাই মাহমুদ বিশ্বাস প্রার্থী হয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন ।তবে পারিবারিক ভাবেই তাকে চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। গিমাডাঙ্গা গ্রামের সমর্থন কোনদিকে যাবে মাসুদ গাজী নাকি মাহামুদ বিশ্বাস ? তবে একই গ্রামের এই দুজন প্রার্থীর লড়াইয়ে ভোটের খেলায় এগিয়ে যেতে পারেন মোঃ বাবুল শেখ।
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বুলেট কামালের প্রচার প্রচারণা তেমন লক্ষ্য না করা গেলেও তার পোস্টার দেখা গেছে।টুঙ্গিপাড়ার প্রানকেন্দ্রে ৩ জন প্রার্থীর বসবাস। অন্যদিকে তিনি ডুমুরিয়া ইউনিয়ানের প্রার্থী। তিনি তার ইউনিয়নে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন সেটা জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
শুরুতে ৬ জন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও এখন মাঠে রয়েছেন ৪ জন।
এরপর কে কবে কখন অদৃশ্য কারনে নির্বাচনের মাঠ ত্যাগ করবেন সে প্রশ্নের উত্তর তোলা রইলো সময়ের হাতে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2024 Nabadhara. All rights reserved.