নীলকন্ঠ বাকচী, বিশেষ প্রতিবেদক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমার নির্দেশ একটাই তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কে উন্নত করা। কেন ডাক্তাররা থাকেন না সে বিষয়ে ডিজিসহ মন্ত্রণালয়ের সকল কে বলেছি। ইতিমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় ডাক্তার ছিলেন না, তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসক সংকটের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা এক দিনের সমস্যা নয়, এটা বহুদিনের সমস্যা। এ বিষয়ে আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। স্টান্ডার্ট সেটআপ অনুমোদন হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গরমের কারণে আমি প্রত্যেকটা সিভিল সার্জনকে বলে দিয়েছি, ইমারজেন্সি রোগীদের জন্য যাতে হাসপাতালে বেড ফাঁকা রাখা হয়।
এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রর্থনা করেন বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায়।
পরে দেশের প্রথম টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শণে যান সামন্ত লাল।
এরপর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও পরিদর্শন করেন, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রেফেসর ডাঃ এহসানুল কবির, সাচিপ সভাপতি ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মির সরোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নাহিদ ফেরদৌসীসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।