স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৮ মে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াতকলম মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান। সোমবার তিনি নওপাড়া, বাগাট, কোরকদি, গাজনা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন এবং কয়েকটি উঠান বৈঠকে অংশ নেন। এসময় মুরাদুজ্জামানের পক্ষে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকু এবং তার নেতৃত্বে ছয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরা একসাথে মাঠে নেমেছেন
স্থানীয় সরকারের এই জনপ্রতিনিধিরা একসাথে মুরাদুজ্জামানের পক্ষে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে দোয়াতকলম মার্কায় ভোট চেয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন, আড়পাড়া ইউপির বদিউজ্জামান বাবু, মেগচামি ইউপির সাব্বিরউদ্দিন, কোরকদি ইউপির মুকুল হোসেন রিক্ত, রায়পুরের জাকির হোসন, গাজনা ইউপির গোলাম কিবরিয়া ও নওয়াপাড়ার জাহিদ হোসন টিপু।
নির্বাচনি প্রচারণার সময় আড়পাড়া ইউপির চেয়ারম্যান বদিউজ্জামাল বাবু এসময় বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি তারা যাতে ভোট কেন্দ্রে আসেন। এছাড়া এবারের নির্বাচনে যে ক’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে আমাদের দৃষ্টিতে দোয়াতকলম মার্কার মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামানকে একজন জনবান্ধব প্রার্থী হিসেবে মনে হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে জনগণ তার দ্বারে যেকোন কাজে যেকোন সময় যেতে পারবেন। আমরা ভোটারদের দ্বারে এজন্য মুরাদুজ্জামানের দোয়াতকলম মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছি।
এব্যাপারে মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছি। যদিও একজন ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ সীমিত। তবু আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কাজ করার। তিনি বলেন, আমার বিগত দিনের কাজের প্রতি আস্থা রেখেছে বলেই জনগণ আমার পক্ষে রয়েছেন। তাদের মতো মধুখালী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণও আমার জন্য ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন হলে দোয়াতকলম মার্কায় আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো।
জানা গেছে, মধুখালী উপজেলা পরিষদের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯০ হাজার ১৯১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৮৭ হাজার ৩৪৮ জন।