কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় ২ বন্ধু আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে গাছের সাথে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পল্লব বাড়ৈ (২২) নামে কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। অন্যদিকে গতকাল সোমবার সকালে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করে অশ্রু বিশ্বাস (২৪) নামের অপর এক কলেজ শিক্ষার্থী। তারা দুজনেই ভালো বন্ধু ছিল।
পল্লব বাড়ৈ শিকির বাজার গ্রামের গনেশ বাড়ৈ এর ছেলে এবং অশ্রু বিশ্বাস ছিকটিবাড়ী গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পল্লব বাড়ৈ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। বরিশালে একটি মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে তার প্রেম চলছিল। হঠাৎ করে মেয়েটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে গত কয়েকদিন তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। গত সোমবার দিবাগত ভোররাতে ঘরে কোথাও তাকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে খুঁজতে বের হন পল্লবের মা-বাবা।
সকালে পাশ্ববর্তী একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের শার্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। গতকাল পল্লবের বন্ধু অশ্রু বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই লাশের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া শেষে বাড়িতে আসার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পল্লব বাড়ৈ।
কোটালীপাড়া থানার এসআই আতাউর রহমান জানান এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে জানা যায়, অশ্রু বিশ্বাস ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল অশ্রু বিশ্বাসের । মেয়েটি অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে বিয়ে করার জন্য পরিবার কে চাপ দিয়ে আসছিল অশ্রæ বিশ^াস। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে আসছিল। গতকাল সোমবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
কোটালীপাড়া থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।