গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সাবেক সংসদ সদস্য শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেছেন, আমার কাছে পদই বড় নয় আমি গোপালগঞ্জ কে ঢেলে সাজাতে চাই। যদিও এখানে বিএনপির দুটি গ্রুপ আছে তাদেরকে একত্রিত করে আমি বিএনপির প্রাণবন্ত একটি নতুন কমিটি করে দিতে চাই ।
তিনি সাংবাদিকদের দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার এসব কথা বলেন গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক আবহাওয়া ভিন্ন রকম। উল্লেখ করার মতো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় গোপালগঞ্জের আবহাওয়া একেবারেই ঠান্ডা। কারণ গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে বরাবরই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে থাকেন। আর গোপালগঞ্জের রাজনীতির মাঠে উল্লেখ করার মতো কোনো অবস্থান না থাকায় বিএনপিতেও দলীয় মনোনয়ন আদায়ে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা হয় না। ইতিহাস-ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা মধুমতি নদীর তীরের কৃষিপ্রধান জেলা গোপালগঞ্জ। আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত এ জেলার আয়তন ১৪৯২.৯২ (প্রায় ১৪৯৩) বর্গ কিলোমিটার। এ জেলার ৫টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়ন নিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন গঠিত। এই জেলার তিনটি আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। এবার এসেছে সুযোগ দলীয় যোগ্য ব্যক্তিকে মনোয়ান দিলে তিনটি আসনেই বিএনপি’র প্রার্থীরা জয়ী হবে বলে তিনি আশা করেন।
তিনি আরো বলেন আমাদের দলীয় সকল নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে সকল ভোটারদের সাথে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এবং সাধারণ ভোটারদের খোঁজখবর নিতে হবে ও নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি করতে হবে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথাও বলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, গত নির্বাচনে আমাকে নমিনেশন দিলে আমার এবং আমার ছেলের ওপর হামলা হয়। এরপর থেকে আমার ছেলে অসুস্থ। কিন্তু আমার ছেলে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সুস্থ থাকায় গোপালগঞ্জ না গেলেও নেতার্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা