এস এম শরিফুল ইসলাম নড়াইল
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু কে প্রধান আসামী করে ও আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেন সদর উপজেলার বাঁশগ্রা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের হামিদ বিশ্বাসের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলার আবেদন করলে বিচারক মো. জুয়েল রানা মামলাটি গ্রহণ করে নড়াইল সদর থানা পুলিশ কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সদর উপজেলার নাকশী বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাজারের পশ্চিম পাশে তেলের পাম্প এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন বন্দুক, শটগান,বোমা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও সড়কিসহ বিভিন্ন অস্ত্রসহকারে মিছিলের গতিরোধ করে। এসময় ১নং আসামীর নির্দেশে আসামি মাহমুদুল হাসান কায়েস মিছিলে ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি করে। এতে মামলার বাদির ভাইপো সোহান বিশ্বাসের গায়ে লেগে গুরুতর জখম হয়। অন্য দুই আসামির ছোড়া গুলিতে আরও তিনজন মিছিলকারী জখম হয়৷ এঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে কয়েকদিন ঘুরিয়েও মামলা গ্রহণ করেননি। আহতদের সুচিকিৎসা ও থানায় মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে’- বলে উল্লেখ করেছেন বাদি।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবশীষ কুন্ডু মিটুল, জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস প্রমুখ।
মামলার বিষয়টি বাদি পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের হামিদ বিশ্বাসের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।