ফেমাস রহমান, বিশেষ প্রতিবেদক
আজ (২ অক্টোবর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হয়েছে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ও ১২ অক্টোবর নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ বছরের শারদীয়া দুর্গোৎসবের।
টুঙ্গিপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন,টুঙ্গিপাড়ার ৯২টি পূজা মন্ডপে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বছরের মতো আমরা এবারো টুঙ্গিপাড়ায় মায়ের পূজা আয়োজন করেছি। এবার প্রশাসন ভীষণ তৎপর, তাদের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি আশা করি ঠাকুরের কৃপায় সুন্দর শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা শেষ করতে পারবো।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মইনুল হক নবধারা’কে বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যথানিয়মে অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও টুঙ্গিপাড়ার ৯২টি পূজা মন্ডপে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এবং নির্বিঘ্নে তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করতে পারেন সেই জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশের পাহারা থাকবে। স্টাকিং ফোর্স হিসেবে আনসার ভিডিপি বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপে সেচ্ছাসেবক টিম থাকবে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপের অনুকূলে যে ধরনের সহযোগিতা বিশেষ করে চাল, প্রতিটি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল এবং আমাদের কাছে একটা আবেদন এসেছিলো যেগুলো অসচ্ছল পূজা মন্ডপ সেগুলোর অনুকূলে কিছু নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে। সেগুলো তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে ৪৫টি মন্ডপের নাম পাঠিয়েছি। যেগুলো মন্ত্রনালয় থেকে আসবে সেগুলো বন্টন করে মন্ডপ গুলোতে পাঠিয়ে দেবো
তিনি আরো বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে যাতে করে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে পারে সেজন্য একটি প্রস্তুতি মূলক সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট পূজা মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অন্যান্য বছরের ন্যায় আশাকরি এবছরও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।