নড়াইল প্রতিনিধি
গ্রাবাংলার রূপের মধ্যে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকারের দৃশ্যটি সবার চিরচেনা। তবে সময়ের পালা বদলে এ ভেসাল জালে মাছ শিকারের দৃশ্য এখন খুব বেশি চোখে পড়ে না। গ্রামগঞ্জের খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ে বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেলেদের ভেসাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যেত এক সময়। ভেসালে ঝাঁক বেঁধে উঠতো রুই, কাতলা, পুঁটি, বাইলা, টেংরা, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ। ভেসাল ভর্তি মাছ দেখে জেলেরা খুশিতে আতœহারা হয়ে যেত। সময়ের বির্বতনে সেই ঐতিহ্যবাহী ভেসাল দিয়ে মাছ ধরা এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। বলা চলে ভেসাল দিয়ে মাছ ধরা এখন বিলুপ্তির পথে। তবে গ্রামের কিছু জায়গায় মাঝে মধ্যে ভেসাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।
সোমবার (১৪অক্টোবর) সকালে গিয়ে দেখা গেছে,জেলার লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর সূইচ গেট এলাকায় ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জগনাথ বিশ্বাস। বর্ষার শুরু থেকে খালে পানি এলেই তিনি ভেসাল দিয়ে মাছ ধরেন। প্রতিদিন ভোর থেকে ভেসালে মাছ ধরা শুরু করেন দুপুরের দিকে এক থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি রাখে। তারপর একটানা রাত ৮-১১টা পর্যন্ত চলে মাছ ধরা। ভেসালে ওঠা মাছ আশে পাশের হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। স্থানীয় লোকজনও ভেসালের কাছে গিয়ে তরতাজা মাছ কিনে নেয়।
লোহাগড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার জুলফিকার আলি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। এখন কিছু এলাকা ছাড়া ভেসাল জালের ব্যবহার তেমন দেখা যায় না। তিনি আরো বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় সাদা মাছের ঘের ৩ হাজার ৬০ টি এবং চিংড়ি মাছের ২৮৯ টি ঘের রয়েছে।