শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
নড়াইলের মধুমতি নদী ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের নদীর পাড়ের ২০টি পরিবারের বসতবাড়ি ও গাছপালাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে। মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন পুরো রামকান্তপুর গ্রাম।
মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা মধুমতি নদী। নদীর অপর পাড়ে চর পড়তে শুরু করেছে। রামকান্তপুর গ্রামের উজানে চর পড়ে মধুমতি নদী বাঁক নিয়েছে। সেই বাঁকের কারণে ¯্রােতের ঢেউ সরাসরি গ্রামটিতে এসে আঘাত করছে। একারণে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের ভয়ে গ্রামের অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙন পাড়েই বসবাস করছে। রামকান্তপুর গ্রামের জালাল সরদার জানান, এখন যেখানে মধুমতি নদী রয়েছে সেখানেই ছিল তাদের ফসলের জমি। তিনি আরো বলেন,কোন কোন পরিবার তিন-চার বারও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বসত বাড়ি তৈরি করেছে। অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেননি, তারা বারবার বসত বাড়ি সরিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন।
রামকান্তপুর গ্রামবাসীরা জানান চলতি মাসে তৈয়েব শিকদার, মনির শিকদার, হামিদা বেগম, ছেয়ারন নেছা, তাহের আলী,তোয়াক্কেল মুছল্লি, মাসুদ মুসল্লি, জালাল সরদার, উজ্জ্বল সরদার, কওছার মোল্যা, শাহাবুদ্দিন মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মহিউদ্দিন মোল্যা, সোহেল আহম্মেদ মোল্যা, দেলবার মোল্যা, শফি সরদার, বিপুল সরদার ও আলমগীর সরদারের বসতবাড়িসহ গাছপালা মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বুধবার(২৩অক্টোবর) সকালে জানান, গত বছর থেকেই পাউবোর কাজ সীমিত হয়ে গেছে। বর্তমানে বরাদ্দ নেই। তাই ভাঙন রোধের কোন পরিকল্পনা বা প্রকল্প আপাততঃ নেওয়া যাচ্ছে না।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.