নবধারা প্রতিনিধি :
ভিক্ষা ছাইরে কাজ শুরু করছিলাম। মাছ শ্যষে বেতনও পাইলাম। এখন এই বেতন দিয়া পরিবারের সবাইরে নিয়ে আজ একটু ভাল মন্দ খাইবো। এ ভাবেই কথাগুলো বললেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চৌরখুলী গ্রামের প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি “অবলম্বন-এ কাজ করা সোনামতি বেগম। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কর্মময় জীনের প্রথম মাসের বেতন পেয়েছেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলেন তার মতো আরো ৪২জন শ্রমিক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে (০১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা উপস্থিত থেকে চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টারী ‘অবলম্বন’ এ চাকুরী পাওয়া ৪৩ জন ভিক্ষুকের হাতে তাদের কর্মজীবনের প্রথম মাসের বেতন ৩ হাজার টাকা করে তুলে দেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা নবধারা কে বলেন, ভিক্ষা নয় এখন থেকে কর্মময় হলো ৪৩জন ভিক্ষুকের জীবন। এই ভিক্ষুকরা এখন কাজ করে তাদের সংসার চালাতে পারবেন। এটি আমাদের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। এ ক্ষুদ্র উদ্যোগটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।