শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ব্যাপক উৎসাহ -উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উৎসবের নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। শিশুরা পিঠা উৎসবে এসে নতুন নতুন পিঠার নাম জেনে ও স্বাদ উপভোগ করে প্রচুর আনন্দ উপভোগ করে।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিন দুপুর ২ টা রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে এ উখসব। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্হিত লোটাস কলেজিয়েট স্কুল প্রাঙ্গণে স্কুল কতৃপক্ষ এর আয়োজন করে।
উৎসবে ৯টি পিঠার স্টল বসে। এর মধ্যে স্কুল কতৃপক্ষের একটি স্টলে দুস্হ্য ও পথ শিশুদেরকে বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়।
দুইদিনের উৎসবে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও সাধারণ মানুষেরা পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পিঠা উৎসবে শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরছে। নতুন নতুন নামের পিঠা দেখে উৎসাহিত হচ্ছে তারা। কেউ আবার পিঠা খেয়ে স্বাদ নিচ্ছেন। নানা স্বাদের বাহারি পিঠা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিল স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অন্যান্যরা। নারী উদ্যোক্তারা এবং বেশ কিছু গৃহিণীও আসেন পিঠা মেলায় অংশ নিতে।
অভিভাবক সামিয়া ফারহানা, মইনুল হক, সহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন বলেন, তাদের সন্তানরা এই স্কুলে পড়ালেখা করে। স্কুল কতৃপক্ষ পিঠা উৎসবের মতো এতো চমৎকার একটি আয়োজন করে আমাদের সন্তানদের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা-পুলির সাথে পরিচিতি ও স্বাদ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এটা আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এত সুন্দর আয়োজনের জন্য স্কুল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
লোটাস কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের সমাজ থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে। পিঠা কি এবং কত ধরনের পিঠা আছে তা এ প্রজন্মের শিশুরা জানেই না।
এখানে ৯টি স্টলে প্রায় অর্ধ শতাধিক আইটেমের পিঠা তৈরি করা হয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এই পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের চেষ্টা করব। এতে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ও স্বাদ ফিরে আসবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.