যবিপ্রবি প্রতিনিধি,রায়হান আহমদ
বসন্তের আগমনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে এক রঙিন ফুলের রাজ্যে। বাহারি ফুলের সমারোহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এখন আরও আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। বিভিন্ন রঙ ও প্রজাতির ফুলের কারণে ক্যাম্পাসে বসন্তের এক অনন্য আবহ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও দর্শনার্থীদের বিমোহিত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ একরের ছোট্ট ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানান রঙের ফুল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সুর্যমুখী, গাঁদা ও গোলাপ। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে ফুটে রয়েছে ক্যালেনডুলা, পিটুনিয়া, ডায়ানথাস, সিলভিয়া, জিনিয়া, কসমস ও বোতামফুলের মতো বাহারি ফুল। দিনে সোনালি সুর্যমুখীর হাসি যেন পুরো ক্যাম্পাসকে আলোকিত করে রাখে। কুয়াশা ভেজা সকালে জিনিয়া আর কসমসের দোলায় প্রকৃতির এক মায়াবী রূপ ধরা দেয়। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ক্যাম্পাসের এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরাও আসছেন ক্যাম্পাসের এই ফুলের সমারোহ উপভোগ করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার লিথি বলেন, "ফুলের সৌন্দর্য শুধু চোখ জুড়ায় না, মনকেও শান্তি দেয়। ফুল প্রকৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জাগ্রত করে।। ক্লাসের একঘেয়েমি দুর করতে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করা আমাদের জন্য এক অন্যরকম অনুভুতি।"
এই সৌন্দর্য ধরে রাখার পেছনে রয়েছে একদল পরিশ্রমী মানুষের অবদান। ক্যাম্পাসের ফুলের পরিচর্যায় দিনরাত কাজ করছেন ৮ জন শ্রমিক। তারা নিয়মিত জলসেচ, গাছের যত্ন এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন, যাতে ফুলেরা সতেজ থাকে এবং ক্যাম্পাস সবসময় মনোমুগ্ধকর দেখায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুল পরিচর্যাকারি মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এই ফুলগুলোর জন্য আমরা প্রতিদিনই পরিশ্রম করি। যখন দেখি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা এখানে এসে প্রশান্তি খুঁজে পান, তখন আমাদের পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। শিক্ষার্থীরা এ ফুলগুলোর মধ্যে এসে কিছুটা সময় কাটালে তারা নতুন উদ্যমে আবার ফিরে আসে।
ক্যাম্পাসের ফুলের বাগান শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি গবেষণা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফুলের সমারোহে যবিপ্রবির ক্যাম্পাস এখন শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি প্রকৃতি ও শিক্ষার এক অনন্য মেলবন্ধনের জায়গায় পরিণত হয়েছে। যদি দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে পুরো দেশের মানুষ আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত, স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব পরিবেশে বসবাসের সুযোগ পাবে, যা তাদের মানসিক প্রশান্তি ও জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.