নাঈমুর রহমান,পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসীন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০) কে ৫৪ ঘন্টা পরে আজ রবিবার ভোরে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
তাকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেছে। তবে কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। কলাপাড়ায় দুপুর নাগাদ পৌছলে থানা পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে রবিউল আউয়াল অন্তর নিখোঁজ ছিল । কলাপাড়া পৌরশহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি লোন্দা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না স্বজনরা। কলাপাড়া থানা পুলিশ তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা পোর্ট ফোরলেন ও সিক্সলেন সড়কের মাঝ বরাবর রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় উদ্ধার করে। কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কলাপাড়া থানায় একটি জিডি করেছে। অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন এ ঘটনায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় শুক্রবার একটি মামলা করেন ।
তিনি জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গতকাল রাতে ১১ টার দিকে বাড়িতে ফিরছিল। এরপর গভীর রাতে থানার মোবাইল পেয়ে বিষয়টি তারা জানেন। অন্তরের বাবা মোঃ সোলাইমান বলেন, আমার ছেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপুরন আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় ছিলেন। তাকে উদ্ধারের দাবিতে টানা তিনদিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। আজও বিক্ষোভ করছিলেন। তবে অন্তরকে পাওয়ার খবরে স্ত্রী স্বজনরা শুকরিয়া আদায় করেছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মাহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ব্রিফ করবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.