স্টাফ রিপোর্টার

বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আহত নুর ইসলাম শেখ (৪৮) মারা গেছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত নুর ইসলাম চিতলমারী চরচিংগড়ী গ্রামের জলিল শেখের ছেলে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহীনির ততপরতা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া মাস্টার ও মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরজের ধরে ১৬ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যার একটু আগে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগড়ী এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থক ও গোলাম কিবরিয়া মাষ্টারের সমর্থদের মধ্যে সংঘঘর্ষের সময় মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থক নুর ইসলাম শেখ গুরুতর আহত হন ।

এসময় নুর ইসলামসহ উভয় পক্ষের ১৫জন আহত আহত হয়। গুরুতর আহত নুর ইসলামকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া সেখান থেকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শর্যা জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০দিন মৃত্যুর সাথে সংগ্রাম করে গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।এদিকে নুর ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান কচি জানান, ১১ ফেব্রæয়ারী কলাতলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে তার পক্ষের লোকজন জয়লাভ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এদিন দুপুরে গোলাম কিবরিয়া মাস্টারের লোকজন তার পক্ষের লোকজনকে হামলা করে আহত করে। এরপর ১৬ ফেব্রæয়ারী পুনরায় কিবরিয়া মাস্টারের লোকজন হামলা করে নুর ইসলামসহ ৮-১০ জনকে আহত করে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। তবে গোলাম কিবরিয়া মাস্টারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহার নামীয় ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।