শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
মুসলমানদের দুইটি ঈদ, সনাতনীদের দুর্গাপূজা সহ বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া -পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
বিগত দিনগুলোতে এ সকল যাত্রীদের পরিবহনকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বাড়তি কাউন্টার বসাত আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। ওই সকল কাউন্টার হতে বিভিন্ন জেলা হতে নিম্ন মানের বাস ও প্রাইভেটকার এনে যাত্রী পরিবহন করা হতো। আদায় করা হতো স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া। এভাবে তারা হাতিয়ে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা।
আমরা ছিলাম নিরুপায়। কিছুই করার থাকত না।অথচ সারা বছর লাভ-লোকসান ঘাড়ে নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাত্রীদের পরিবহন সেবা দিয়ে আসতাম আমরা প্রকৃত পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
এবার তো আওয়ামী লীগ নেই। দলীয় কোন সরকারও ক্ষমতায় নেই। তাই আমরা সেই অবৈধ সুযোগ এবার আর কাউকে দিতে চাইনা।
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোন্দকার মাহবুবুল আলম জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার ভৌমিক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের জবাবে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ঘাট হতে কাউকেই কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিতে দেয়া হবেনা। কেউ চেষ্টা করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সরকারী দল না থাকলেও তো মাঠে একটি দল সক্রিয় আছে। তাদের নিয়েই সমন্বয় করতে হবে। এ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে পক্ষে - বিপক্ষে অনেকেই বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে ইউএনও আলোচনাটি মুলতবি রেখে ঈদ উপলক্ষে আগামি বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের কথা বলেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো
বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকন উজ্জামান, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্রভাষক মুহম্মদ নজির হোসেন মোল্লা প্রমূখ।
সভায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা হতে পদ্মা নদীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে একটি পক্ষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং নদী ভাঙন ও পরিবেশ দূষনের বিষয়টি উঠে আসে। আলোচনা শেষে ইউএনও সকল প্রকারের বালু উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রি বন্ধ ঘোষনা করেন।
এছাড়া মাদক, ইভটিজিং, বাড়তি দামে পন্য বিক্রিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.