মো.জিহাদুল ইসলাম, নড়াগাতী, নড়াইল
নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের চর শুকতাইল গ্রামে আকরাম হত্যাকান্ডের জেরে ৫ কিলোমিটার দুরে পুরান জয়নগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সত্তার শেখের বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষরা।
১২ মার্চ সন্ধ্যা রাতে সংঘটিত হত্যাকান্ডের ২০-২৫ মিনিট পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোস্তাক, মনিরুল, কামরুল ও মিশকাত শেখের বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য মিশকাত শেখের একতলা ভবনের ছাদ ভেঙ্গে যাবতীয় ইট খুলে জানালার গ্রীল, দরজাসহ সমস্ত মালামাল লুট করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ কামরুল শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম কালিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ দিলেও কোন ফল হয়নি বলে জানান।
রহিমা বেগম, তার ননদ রোজিনা ও তার বড় বোন বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে ৫ কিলো মিটার দূরের গ্যানজাম কে কেন্দ্র করে কেরামত শেখের হুকুমে তার ছেলে সামাদ শেখ (৩২) ও লিয়াকত শেখ (৪০) গং আকমান শেখের ছেলে বাচ্চু শেখ (৩৫), শাহাবুল শেখ (২৬)গং, ও লুখাই শেখের ছেলে কবির শেখ (৩৫) ও আনিছ শেখ (৩২)সহ ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং পুরুশ শূণ্য বাড়ীতে মহিলাদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ সময় রহিমার বাবা থামতে বলেলেও তারা থামেনি বরং হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে দিয়ে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। প্রান ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আত্মীয় বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানায়।
আরো জানা যায় অভিযুক্তরা এক সময় মুক্তিযোদ্ধার জমিতে বর্গাচাষ করতো। সম্প্রতি তাদের কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নেওয়ায় রাগান্বিত হয়ে এ ভাংচুর ও লুটপাট তারা। এ ঘটনার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উচিৎ বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামাদ শেখের সাথে কথা হলে বলেন, মোস্তাক, মনিরুল ও কামরুল শেখ আমাকে মারতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে জিডি ও করেছিলাম আমি। ওরা আমার চাচাত ভাইকে মেরেছে। আর কে বা কারা তাদের বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.