শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চিত্র নায়িকা রোজিনা নির্মিত "দশ গম্বুজ খাদিজা জামে মসজিদ" দ্বিনের আলো ছড়াচ্ছে এলাকাবাসীর মাঝে।
তুরস্কের নকশায় নিজ মায়ের নামে ওয়াকফকৃত ৮ শতাংশ জায়গার উপর অত্যাধুনিক মসজিদটি নির্মান করতে ব্যায় হয় প্রায় ২ কোটি টাকা।
শৈশবের স্মৃতি বিজরিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে জুড়ান মোল্লা পাড়ায়
মসজিদটি নির্মাণ করতে পেরে এলাকাবাসীর পাশাপাশি ৮০'র দশকের এই জনপ্রিয় নায়িকাও খুব খুশি।
মসজিদটিতে পুরুষদের পাশাপাশি যথাযথ পর্দার মাধ্যমে নারীদের জন্যও নামাজ আদায়ে ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে শিশুদের আরবি শিক্ষার জন্য মক্তব ব্যবস্হা।
আলাপকালে স্হানীয়রা জানান, রুপালী পর্দার তারকারা পর্দার কাজের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় আলোচনায় আসেন। তেমনিভাবে এক সময়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়িকার শৈশব এর স্মৃতি বিজড়িত তার নিজের গ্রামে মসজিদ নির্মান করে এলাকাবাসীর ভালবাসা অর্জন করেছেন।
টানা ২ বছর ধরে নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০২০ সালের ১ লা এপ্রিল শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মসজিদটির উদ্ধোধন করা হয়।
মসজিদ টিতে রয়েছে ১০ টি গম্বুজ, সামনে ২ টি মিনার, নির্মাণের নকশা করা হয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন মসজিদের আদলে। মসজিদ টি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে দামি টাইস, মূল্যবান পাথর ও নানা কারু কার্য।
উদ্ধোধনের পর থেকেই স্থানীয় মুসুল্লিরা এখানে নামাজ পড়ছেন। মসজিদটি দৃষ্টি নন্দন হওয়ায় নামাজির সংখ্যাও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান জানান, আশ-পাশে মসজিদ না থাকায় নায়িকার এমন উদ্যোগকে তারা সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর এলাকার সৌন্দর্য ও মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
মসজিদটি পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহেল মাহমুদ জানান, আগে আমাদের এখানে মসজিদ ছিলো না। নামাজ পড়তে যাওয়া লাগতো অনেক দূরের থানা অথবা বাসষ্ট্যান্ড মসজিদে । এই মসজিদটি হওয়াতে এখন তাদের অনেক উপকার হয়েছে। এলাকার যুব সমাজ মসজিদমুখী হয়েছে। মুরুব্বিরাও মসজিদে এসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারছেন। এটা আমাদের সমাজে খুবই ভালো প্রভাব ফেলছে।মসজিদ পরিচালনার ব্যয়ে এলাকাবাসীর পাশাপাশি নায়িকা রোজিনাও নিয়মিত সহযোগিতা করে থাকেন।
রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, নায়িকা রোজিনা আমাদের জন্য মসজিদ নির্মান করে দিয়েছেন। আমরা খুব শান্তিতে নামাজ পড়তে পারছি। রোজার মাসে আমরা একত্রে নামাজ পড়ি। নায়িকা রোজিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহর কাছে আমরা তার জন্য দোয়া করি।
মসজিদটির ইমাম হাফেজ আব্দুল আহাদ যুগান্তরকে বলেন, অনেকেরই অনেক অর্থ-সম্পদ আছে। কিন্তু তারা তা দ্বীনের কাজে ব্যায় করেন না বা করতে পারেন না।। যারা করেন তারা ভাগ্যবান। নায়িকা রোজিনা তেমনই একজন সৌভাগ্যবান নারী। পরকালে এই মসজিদটি তার ও তার পরিবারবর্গের নাজাতের উছিলা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মসজিদটির সৌন্দর্যের কারনে দূর-দূরান্ত হতেও অনেকে এখানে নামাজ পড়তে আসেন। স্হানীয় মুসুল্লির সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে নায়িকা রোজিনা জানান, নিজের গ্রামের বাড়িতে মায়ের নামে মসজিদটি নির্মান করতে পেরে আমি মানসিকভাবে খুবই তৃপ্ত। এখন আমার লক্ষ্য এলাকাবাসীর জন্য একটি চক্ষু হাসপাতাল করা। এ জন্য আমি আমার প্রিয় এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.