প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৮, ২০২৫, ১:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৪, ২০২৫, ৭:৩৪ পি.এম
কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একাধিক বার এলাকায় সালিশ বৈঠক হলেও ওই পরিবারটির উপর হয়রানি বন্ধ হয়নি।
জানাগেছে, উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম কাজী পরিবারের সদস্যদের উপর তারই ভাতিজা আমজাদ হোসেন মাস্টার দীর্ঘ দিন ধরে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিক বার সালিশ বৈঠক হলেও পরিবারটির উপর আমজাদ হোসেন মাস্টারের হয়রানি বন্ধ হয়নি। তাই আমজাদ হোসেনের হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হন্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম কাজীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক লোকমান হোসেন কাজী।
তিনি বলেন, আমজাদ হোসেন মাস্টার আমাদের সম্পর্কে চাচাতো ভাই হয়। সে আমাদের জায়গায় আমাদেরকে ঘর তুলতে দিচ্ছে না। বাড়ীতে জোর করে ভবন নির্মান করে আমাদেরকে কবরস্থানে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের বাড়ীর নাম ফলকটি ভেঙ্গে ফেলেছে। রমজান মাসে মসজিদে আমাদেরকে ইফতার দিতে দেয়নি। তার দ্বারা আমার পরিবার প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম কাজীর স্ত্রী জয়নব বিবি বলেন, আমার তিনটি ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলেটি লন্ডন থাকে।সে লন্ডনে সাংবাদিকতা করে। দুটি ছেলে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ীতে থাকে। আমাজাদ হোসেন মাস্টার নিজে ও লোকজন দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করে। সমাজের লোকজন তার কিছুই করতে পারে না। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন মাস্টারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম কাজীর পরিবারের সদস্যদের কোন প্রকার হয়রানি করিনি। তবে ওই পরিবারে সদস্যদের সাথে আমার পরিবারের সদস্যদের মতবিরোধ রয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.