শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ী-১ আসনের (সদর ও গোয়ালন্দ) সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীকে কারাগারে নেয়ার পথে আদালত প্রাঙ্গণে তার সাথে করমর্দন করেন জেলা জামায়াতের আমীর এ্যাডঃ মোঃ নুরুল ইসলাম।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মী ও উৎসুক জনতা ছবি তোলেন। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি একাধিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা -সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমীর এ্যাডঃ মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, তিনি একটি মামলার কাজে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে ওখান দিয়ে কারাগারের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কাজী কেরামত আলী আমাকে দেখে হাত বাড়িয়ে দেন। আমিও সৌজন্যতার খাতিরে হাত মেলাই। বিষয়টি হঠাৎ করেই ঘটে গেছে এবং একান্তই ব্যাক্তিগত। এটাকে অন্য কোনভাবে নেয়া ঠিক হবে না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কাজী কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের বিচারক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ কাজীর আদালতে তোলা হয়। এ সময় পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান,
রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাজিব মোল্লা নামে এক শিক্ষার্থী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ৬ এপ্রিল রোববার রাতে তাকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
এদিকে কারাগারে নেয়ার পথে আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর সাথে জামায়াত নেতা এ্যাডঃ মোঃ নুরুল ইসলামের সৌহার্দপূর্ণ করমর্দনের একাধিক ছবি ভাইরাল হলে নেটিজেনরা ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
অনেকেই বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে এ্যাডঃ মোঃ নুরুল ইসলামের আইন পেশা পরিচালনা সহ কোন ক্ষেত্রেই তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তিনি স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছেন। সেই কৃতজ্ঞতা হতে তিনি হয়তো তার দুঃসময়ে নুন্যতম সৌজন্যতা দেখিয়েছেন। এটাকে খারাপভাবে নেয়ার কিছু নেই। তবে অনেকেই এটা নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.