শরিফুল ইসলাম,নড়াইল
নৌকা আছে মাঝি নেই। এমনকি বৈঠাও নেই। তবে নদীর এপার থেকে ওপারে টানানো দড়ির রশি দিয়ে টেনে পার হতে হয় সাধারণ লোকজনের। ত্রিশ বছর ধরে রশি টানা নৌকায় পার হতে হয় নড়াইল সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের লোকজনের। একটি সেতুর অভাবে কাজলা নদীর এপার-ওপারে রশি বেঁধে পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়–য়াসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।
মঙ্গলবার(৮এপ্রিল)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নড়াইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে মুলিয়া বাজার। এ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। প্রতিদিন রশি টেনে নদী পার হয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় স্থানীয় লোকজনের। তবে দীর্ঘ দিনেও এখানে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা। ঘাটের একটি মাত্র নৌকা দিয়ে এপার-ওপার রশি বেঁধে পার হতে হয় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল বয়সী লোকজন। যে কোন নিবাচন আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নদীতে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিলেও আজও তা বাস্তাবায়িত হয়নি। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য সরবরাহ, রোগী আনা নেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় লোকজন।
মুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বর্ষায় যখন ঝড় বৃষ্টি হয়, অভিভাবকরা তখন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নদী পারাপার উদ্বিগ্ন থাকে। বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র আরমান জানান, প্রতিদিন আমাদের ৪ থেকে ৫ বার নৌকা পার হতে হয়। নৌকা যদি ওই পারে থাকে তাহলে স্কুলে যেতে আধাঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। এজন্য এখানে একটা ব্রিজ প্রয়োজন। বর্ষাকালে নৌকা ঘাট পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমাদের পারাপারে অনেক কষ্ট হয়।
মুলিয়া বাজারের কাচামাল ব্যবসায়ী রেজাউল হাবিব বলেন,আমরা নৌকা পার না হয়ে যদি তুলারামপুর হয়ে ঘুরে জেলা শহরে যাই তাহলে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ যেতে হয়। কাজলা নদীতে একটা ব্রিজ হলে আমাদের দুর্ভোগ দূর হতো।
নড়াইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু জানান, মুলিয়া ঘাটে সাড়ে চারশো মিটার একটা ব্রিজ করতে হবে? ব্রিজের একটা ডিজাইনও করা হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা বাস্তবায়িত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.