শামীম শেখ, গোয়ালন্দ( রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বালু ব্যবসায়ীর নিকট ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে এক কৃষক লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার আসামিরা হলো গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া নুরু মন্ডলপাড়ার ইউসুফ শেখের ছেলে, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহবায়ক বাকিন শেখ (৪২), দৌলতদিয়া শাহাদত মেম্বার পাড়ার জালাল মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লা (২৭), গোয়ালন্দ পৌরসভার দেওয়ান পাড়ার মৃত সেকেন দেওয়ানের ছেলে হানিফ দেওয়ান (৫৫), দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার ইসলাম প্রামানিকের ছেলে জীবন প্রামাণিক (৩৮) শাহিন সহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাকেন শেখ বলেন, তিনি নিজেও একজন বালু ব্যবসায়ী। তার বকেয়া পাওয়া ২ লক্ষাধিক টাকা পরিশোধের দাবি করায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে বালু ব্যবসায়ী মিলন উল্লেখ করেন , সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে তিনি বলগেটের মাধ্যমে বালু এনে এ এলাকায় ব্যবসা করেন। সেখানে
বাকেনেরও ব্যবসা রয়েছে। আমি তার কাছ থেকে প্রথমদিকে কিছু বালু ক্রয় করি। সে সুবাদে তার সাথে টাকা পয়সা সংক্রান্ত একটা বকেয়া হিসাব ছিল। ইতিমধ্যে আমি বাকেনের সমস্ত পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিয়েছি।
এমতাবস্হায় আমি সিরাজগঞ্জের আলামিন, নান্নু ও আরিফের নিকট থেকে বালু কিনে ব্যবসা করতে থাকি। বাকেনদের নিকট থেকে বালু না কেনায় তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ১৯ এপ্রিল বেলা ১ টার দিকে তার দুটি বাল্বহেড সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাটে আসে। সেই বাল্বহেড থেকে আনলোড ডেজিং মেশিন দিয়ে বালু আমার চতালে ফেলা হচ্ছিল।এমন সময় তারা ৪/৫ জন সংঘবদ্ধভাবে এসে আমাকে গালাগালি করে এবং আনলোড ড্রেজিং মেশিনটি বন্ধ করে দেয় এবং পাইপ ভাংচুর করে।
আমি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে ১লক্ষ টাকা অগ্রিম চাঁদা দিবি।আর প্রতি বডি (বাল্কহেড) থেকে নিয়মিত ৫ হাজার করে টাকা প্রতিদিন আমাকে দিবি। তা না হলে বালুর ব্যবসা করতে পারবি না।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে বাকেন শেখ দাবি করেন, চাঁদাবাজির মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মিলন ও জগোদাস আমার কাছ থেকে বালু কিনে নিয়ে ব্যবসা করত। আমি তাদের কাছে ২ লক্ষাধিক বকেয়া টাকা পাবো। তারা আমার টাকা পরিশোধ না করে নান্নু ও আরিফের কাছ থেকে বালু কিনে ব্যবসা করছে। আমার ম্যানেজার ফারুক ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন আমি ফারুককে বলি আমার টাকা না দেয়া পর্যন্ত আনলোড ড্রেজিং মেশিনটি বন্ধ থাকবে। আমার টাকা পরিশোধ করে তোমরা আনলোড ড্রেজিং মেশিন চালাবা তার আগে চালাতে পারবা না।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান,গোয়ালন্দ ঘাট থানায় বাকেনসহ ৫ জনের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। ফারুক নামে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.