শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রবিবার সকালে পদ্মা নদী থেকে মাথাবিহীন জিহাদ সরদারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন নিহতের বাবা সহিদ সরদার।
তিনি উদ্ধার হওয়া মরদেহটিকে তার ছেলে জিহাদ সরদারের বলে দাবি করেন। তাদের বাড়ি উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাচরন্দ গ্রামে।
এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও জিহাদের চাচাতো ভাই সোহাগ সরদারকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাবার নাম বাবলু সরদার।
মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে স্হানীয় হারেজ বেপারীর ছেলে হৃদয় (২৪) ও এক নারী রয়েছেন।
মরদেহের মাথা বুধবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। তবে পরনের পোশাক ও শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে লাশটিকে নিখোঁজ জিহাদের বলে দাবি করে তার পরিবার।
নিহত জিহাদ নারায়নগঞ্জের একটি জাহাজ মেরামত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বাড়িতে এসে সন্ধ্যার পর হতে নিখোঁজ হন।
পরদিন শুক্রবার গোয়ালন্দ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নারীর সঙ্গে জিহাদের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। হৃদয় ও সোহাগ নামে স্হানীয় দুই যুবকের সঙ্গেও ওই নারীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জিহাদ কর্মস্হল হতে বাড়ি ফিরে ওই দিন গভীর রাতে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিন্তু হৃদয়,সোহাগসহ কয়েকজন মিলে জিহাদকে ধরে ফেলে নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করেন। তবে গ্রেপ্তার সোহাগ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার মরদেহটি নিখোঁজ জিহাদের বলে তাঁর পরিবার শনাক্ত করলেও তারা শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিহতের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ নামের এজাহারভুক্ত আসামিকে সোমবার রাতে আটক করে মঙ্গলবার রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.