মো.সাদ্দাম হোসেন,সিলেট জেলা প্রতিনিধি
সিলেটের জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ শনিবার সিলেটের জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মহাপরিকল্পনায় পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ যৌথভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন জাফলংয়ের মতো এলাকায় পাথর উত্তোলনের জন্য আর ইজারা দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে এই সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের কৌশল নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এখানকার স্টোন ক্রাশারগুলো অপসারণ করা হবে। অবৈধভাবে কাউকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এর আগে উপদেষ্টাদ্বয় জলযানে জাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজে গাছের চারা রোপণও করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.