যশোর প্রতিনিধি
অপরিবর্তিত যশোরের নিত্যপণ্যর বাজার। বেড়ে যাওয়া পণ্যর দাম নতুন করে আরও উচ্চতায় না পৌঁছালেও স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের জীবনে। ঈদ শেষে কিছুটা বাড়লো ডিম ও মুরগির দামও।
তিন বছর ধরে নিত্যপণ্যর বাড়তি দামের কারনে সাধারণ মানুষের জীবন এক রকম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। একবার যে পণ্যর দাম বাড়ে তা আর পূর্বের দরে ফেরেনা। মুখে কিছু না বললেও বাজারে নিত্যপণ্যর দাম শুনে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অসন্তোষ ঝরে পড়ে তাদের কথায়। সাধ আর সাধ্যর মাঝে মেলবন্ধন ঘটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বাড়ি থেকে করে আনা বাজেট মেলাতে না পেরে বিরস মুখে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এ দৃশ্য গেলো তিন বছরের। ঈদের আগে মশলার দাম কিছুটা বাড়ে। ঈদ পরবর্তীতে কিছুটা বাড়লো ডিম ও মুরগির দাম। কারন হিসেবে ঈদের ছুটিতে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান একাধিক বিক্রেতা।
চৌরাস্তা এলাকার রোশনী আক্তার বলেন, সাংসারিক চিন্তার একটি বড় অংশ জুড়ে নিত্যপণ্যর দরদাম। যারা মধ্যবিত্ত বা অতি সাধারণ তাদের জীবন এখন অত্যন্ত জটিল। খড়কি এলাকার ওলিয়ার রহমান বলেন, নিত্যপণ্যর দাম যা বেড়ে যাবার তাতো আরো আগেই বেড়েছে। নতুন করে আর কোন পণ্যর দাম না বাড়লেও তাই আমরা যারা মধ্যবিত্ত বা সাধারণ মানুষ তারা খুব একটা উপকৃত হই না।
শনিবার প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয় ৪৪ টাকা হালিতে। ঈদের আগে যা বিক্রি হয় বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে। সোনালী মুরগির ডিম ৫০টাকা হালি। দেশি মুরগির ডিম ৬০টাকা। হাঁসের ডিম ৭২টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২টাকা হালি। ১২টি ডিমের বক্স বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে। যা ঈদের আগে বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০টাকা কেজিতে। সোনালী মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০টাকা কেজি। যা ঈদের আগে বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৩০টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি ৩৫০টাকা। যা ঈদের আগে বিক্রি হয় ৩২০টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০টাকা কেজিতে। খাসির মাংস এক হাজার ২০০টাকা কেজি। মাছের বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজিতে। অন্যান্য মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই।
এদিকে ঈদ শেষেও মশলার বাজার চড়া। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ৫০০টাকা কেজিতে। লবঙ্গ এক হাজার ৪০০ থেকে ৬০০টাকা। জিরা ৬৮০ থেকে ৭০০টাকা। দারুচিনি ৪০০থেকে ৬০০টাকা কেজি। গোলমরিচ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০টাকা। পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫টাকা। রসুন ১৩০ থেকে ২০০টাকা। আদা ১২০ থেকে ২২০টাকা।
অন্যদিকে চালে বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে। স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। কাজললতা ৬০ থেকে ৬২টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে আঠাশ চাল। মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭৪টাকা। বাসমতি ৮৮থেকে ৯০ টাকা। নাজিরশাইল ৭৮ থকে ৮০টাকা কেজি।
সবজির বাজারে আরও কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০থেকে ৬০ টাকা কেজি। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০টাকা কেজিতে। অন্যান্য সবজির মধ্য পটল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। কাচকলা, পেঁেপ ৪০টাকা কেজি। ঢেড়স ২০ থেকে ৩০, কাকরোল ৮০, বেগুন ৮০, ঝিঙ্গে, বরবটি, কচুরলতি, করোলা ৬০, উচ্ছে ১০০, বাধাকপি ৫০, বিটকপি ১৬০, শসা ৪০ থেকে ৫০, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া ৩০, ধুন্দল, কচুরমুখি ৫০, টমেটো ৬০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯টাকা লিটার। খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫টাকা কেজি। মুগ ডাল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। মসুরের ডাল ১০৫ থেকে ১৩৫টাকা। ছোলার ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। বুটের ডাল ৬০ থেকে ৬৫টাকা কেজি। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। প্যাকেট আটা ৫০টাকা। লবন ৪০টাকা কেজি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.