যশোর প্রতিনিধি
‘সাংবাদিকতা হোক শৃঙ্খলা মুক্ত’ এ স্লোগানকে রেখে যশোরে ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মানেই গণমাধ্যমের শত্রু। শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত সবাই গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরেছে। শেখ মুজিব ১৬ জুনে চারটি পত্রিকা রেখে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়।
১৯৭৫ সালের পরে জিয়াউর রহমান সব গণমাধ্যম চালু করে দেন। সেইসাথে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর জন্য ওয়েজবোর্ডের ব্যবস্থা করেন। সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য ইন্সটিটিউশন তৈরি করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা আরো সম্প্রসারণ করেন। জায়গাটি ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেন। বিএনপি মানেই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের জন্য নিবেদিত’। প্রেসক্লাব যশোরের শহীদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
সাংবাদিক ইউনিয়নের যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি নূর ইসলামের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরমের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান মুকুল, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবাদত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব মাহমুদ, পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি রশিদুজ্জামান রতন, জেলা শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু জাফর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম. আয়ুব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ আহমেদ ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসন আমল ছিলো সংবাদপত্রের জন্য অন্ধকার যুগ। সংবাদপত্রের অন্ধকার যুগের সূচনা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ১৭ বছর ধরে সংবাদপত্রের উপর স্ট্রিম রোলার চালায়’।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নির্ভিক সাংবাদিকতা হবে সবার জন্য আদর্শ। সাংবাদিকদের কোন পক্ষ থাকবে না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা হবে নিরপেক্ষ। গণমাধ্যমকে মুক্ত করেছেন জিয়াউর রহমান। আগামাীতে দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সাথে কোন ধরণের সামাজিক সর্ম্পক রাখা যাবে না। এমন একটি দেশ গড়তে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে পারে’।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.