রুহুল আমিন, যশোর প্রতিনিধি
যশোরে কিটের সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। দুই করোনা রোগির মৃত্যুতে মানুষের মাঝে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চাহিদাপত্র পাঠানোর পরও মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কিটের সরবরাহ মেলেনি । তাই সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, যশোরে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২ ঘণ্টা পর ইউসুফ আলী (৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইউসুফ মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের মাহমুদকাঠি গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। এর আগে বুধবার ভোরে আইসিইউতে আমির হোসেন (৬৮) নামে করোনায় আক্রান্ত আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। তারা দুই জন কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে সাধারণ রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সদর হাসপাতালে কীট না থাকায় যথা সময়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম তুহিন জানান, আমির আলী ও ইউসুফ সাধারণ রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের করোনা ধরা পড়ে। আইসিইউতে করোনা সন্দিগ্ধ আরও ২ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। কীটের অভাবে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। একটি বেসরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, কিটের বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রনালয়ে। কিন্তু এখনো বরাদ্দ মেলেনি। ফলে রোগীদের সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। রোগীর উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলে ইবনেসিনা হসপিটাল থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। কিট না থাকায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোগীদের আরটিপিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। সদর হাসপাতাল থেকেও করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। তিনি জানান, যশোরে করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হওয়ায় হাসপাতালে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের মাঝে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, ২২শ’ করোনার টিকা মজুদ আছে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার জন্য কোন কিট নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো সরবরাহ মেলেনি। কিট না পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।