নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল
নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের পানতিতা খেয়াঘাট থেকে টেপারিপাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মধ্যে মালিকানা জটিলতার কারণে চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি ও কাদায় রাস্তার বেহাল অবস্থা। স্থানীয়রা কেউ জুতা হাতে, কেউ মোটরসাইকেল ঠেলে, কেউবা সাইকেল কাঁধে নিয়ে চলাচল করছেন। ফলে তিন গ্রামের প্রায় হাজারো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দুই কোটি ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৭ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ফকির এন্টারপ্রাইজ’। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হলেও অর্ধেক কাজের পর পাউবো বাধা দিলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। পানতিতা গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘জুতা খুলে কাদার মধ্যে হেঁটে যাই। বাচ্চারা স্কুলে যেতে কষ্ট পায়।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম জানান, অনুমোদন নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে পাউবো জানায়, ওয়াপদার আওতাধীন সড়কে কাজ করতে হলে তাদের অনাপত্তি সনদ (এনওসি) নিতে হবে। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ওই সড়কে আরেকটি প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় এখন অন্য কোনো সংস্থাকে কাজ করতে দেবে না পাউবো।
এ বিষয়ে এলজিইডি সদর উপজেলার প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পাউবোর এনওসি না নেওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা জানান, ‘ওয়াপদার সড়কে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প চলমান। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়।’
এদিকে মালিকানা জটিলতার দ্রুত সমাধান ও রাস্তাটি দ্রুত সম্পূর্ণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.