রুহুল আমিন, যশোর প্রতিনিধি
কয়েক বছর ধরে যশোরে বিভিন্ন দেশের বাহারি ফল চাষ হচ্ছে। এগুলো কেউ করছেন শখের বশে। কেউবা বাণিজ্যিকভাবে। সাফল্য ও ব্যর্থতা দু-ই আছে এই বিদেশি ফল চাষে। সম্প্রতি দীর্ঘ চেষ্টার পর বাড়ির আঙিনায় সৌদি খেজুর চাষ করে সফল হয়েছেন নুসরাত জাহান লিজা। তার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। দু-একটি নয়, লিজার বাড়ির আঙিনায় সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৪০টি সৌদি খেজুরগাছ। এবারই প্রথম বাগানের কয়েকটি গাছে খেজুর এসেছে। লিজার এই গাছগুলোর কথা জানতে পেরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা একদিন তাঁর বাড়ি পরিদর্শনও করেছেন। তারা জানান, যশোরের কেশবপুর অঞ্চলে প্রথম সৌদি খেজুর উৎপাদনের দাবিদার লিজা। লিজার এই সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন প্রতিবেশীরাও।
লিজা জানান, তিনি এবার বিএ পরীক্ষার্থী। ছয় বছর আগে সৌদি আরব থেকে তাদের এক আত্মীয় হজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই দেশের খেজুর বাড়ির আঙিনায় আসেন। সেই আত্মীয় তার পরিবারকেও কিছু খেজুর উপহার দেন। তার পরিবার সে খেজুরগুলোর বিজ সংরক্ষণ করে। পরে ওই বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ বছরের চেষ্টায় গাছগুলোকে বড় করে তুলেছেন। দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম তিনটি গাছে ফলন এসেছে। একেক কাঁদিতে ১০ থেকে ১২ কেজি খেজুর রয়েছে।
তিনি আরো জানান, অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা বা বোগ বের হয়েছে। এসব গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর এক-দেড় মাসের মধ্যে পেকে যাবে। পাকলে এসব খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। প্রথমবারে ওই তিনটি গাছ থেকে উৎপাদিত খেজুর ১ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। খেজুরবাগান পরিদর্শন করেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস। তার এই সাফল্যে উপজেলা কৃষি অফিস এখন স্থানীয় লোকজনকে সৌদি খেজুর চাষে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছে।
কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা খাতুন বলেন, লিজা ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। তার সফলতা কামনা করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.