মিলন সিদ্দিকী, ধামরাই প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার (অফিস সহকারী) মেরাজ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ জুন 'দি বাংলাদেশ টু ডে' ও 'নবধারা' অনলাইন পত্রিকায় মেরাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলে তিনি ওই সাংবাদিককে একাধিকবার হুমকি দেন এবং 'হলুদ সাংবাদিক' বলে কটাক্ষ করেন। এমনকি চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার ভয়ও দেখান তিনি।
জানা গেছে, কালামপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত এই মেরাজ আহমেদের বিরুদ্ধে দলিল দাতা, গ্রহীতা ও দলিল লেখকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, মেরাজ সরকারি নির্ধারিত ৬০ টাকা দৈনিক মজুরিতে মাস্টার রোলে নিয়োজিত হলেও তিনি পুরো অফিস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন। সহকারী, পিয়ন, নকল নবীশসহ সবাইকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মেরাজ নিয়মিতভাবে সাব রেজিস্ট্রারের খাস কামরায় বসে জনসাধারণের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ আদায় করেন এবং গোপন নথিপত্র নিজের মতো করে নাড়াচাড়া করেন, যা তার দায়িত্ব ও ক্ষমতার বাইরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার বলেন, “সে আমার অধীনস্থ হোক কিংবা ঊর্ধ্বতন, সাংবাদিক কিংবা সাধারণ মানুষ – কারও নিরাপত্তা যদি ঝুঁকিতে থাকে, তাহলে তার যা করার দরকার সে করতে পারে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নকল নবীশ জানান, “মেরাজের অফিসে কোনও নিয়োগপত্র বা বৈধ কাগজপত্র নেই। একজন বহিরাগত কীভাবে খাস কামরায় বসে কাজ করতে পারে? এটা প্রশ্নের বিষয়।”
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, একজন সরকারি অফিস সহকারী কিভাবে সাংবাদিককে হুমকি দেয়, সেটা এখন প্রশাসনের জন্য বড় প্রশ্ন। তারা দ্রুত মেরাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় ধামরাইয়ের সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.