হুমায়ুন কবির মিরাজ, বেনাপোল
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। গত শুক্রবার রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালক অজয় ভাদুর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সমুদ্রবন্দর, বিশেষ করে মুম্বাইয়ের নহাভা শেভা দিয়ে এসব পণ্য আমদানি চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চলমান পাট রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে হতাশা নেমে এসেছে দুই দেশের হাজারো ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর-নির্ভর শ্রমজীবী মানুষের মাঝে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দুই দেশের সাধারণ ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে ছোট পরিসরে পাটপণ্য আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িতরা।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, “হঠাৎ এ নিষেধাজ্ঞায় আমরা বিস্মিত। সীমান্তবর্তী ব্যবসায়ীরা এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সমুদ্রপথে আমদানির সুযোগ থাকলেও তা ছোট আমদানিকারকদের জন্য প্রায় অচল, খরচ ও প্রক্রিয়া—দুটোই বেড়ে যায়।”
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান বলেন, “বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পাট ও পাটজাত পণ্য ভারতে যায়। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেকে বেকার হয়ে পড়বেন। সীমান্তবাণিজ্য আরও সংকুচিত হবে।”
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কথা হয় বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ভারতের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত শুধু বাণিজ্য নয়, দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার ওপরও আঘাত। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চাই।”
বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে সীমান্ত অর্থনীতি ও পাটশিল্পে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.