গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি এবং মেরীরহাট ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে আজ বিকেলে মহদীপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. মতিউর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২২শে জুন তার মেজো ছেলের স্ত্রী মিশু বেগমকে তার বাবার বাড়ির সামনে তার জ্যাঠা বাবলু শেখ, ভুলু শেখ, মোরশেদা বেগম, শাবানা বেগম, শান্তি বেগম এবং মতিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে, কিল-ঘুষি মারে এবং তাদের জামা ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে। এমনকি তাদের গলার স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে তার কিছু প্রতিবেশী, ভাই ও ভাতিজা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাবলু শেখের লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

মতিউর রহমান আরও জানান, ২৩শে জুন তারা জানতে পারেন যে তার বিয়াই মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামসহ বেশ কিছু লোককে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর ২৪শে জুন পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে আসবে শুনে তারা পুলিশের সাথে দেখা করতে গেলে বাবলু শেখের মেয়ে মোরশেদা বেগম, শাবানা বেগম, শান্তি বেগম এবং বাবলু শেখের পুত্র মতিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন তাদের উপর আবারও হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। তিনি এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মতিউর রহমান দীর্ঘ দিন ধরে মেরীরহাট ফাজিল মাদ্রাসায় সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। তারা অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। নেতাকর্মীরা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।