কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
কচুয়ায় প্রানঘাতী করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রেড়েই চলছে। কচুয়া হাসপাতালে চিকিৎধীন করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর সংখ্যা ১৬ জন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম নাজমুল হোসেন সহ আরও ৩জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কচুয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মনি শংকর পাইক ও আরও এক ডাক্তার এক বয় ও এক সেবিকা সহ ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার প্রায় ৯০% কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ব্যপক হারে করোনা সংক্রমণ হওয়ায় বন্ধ হতে চলেছে সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার কার্যক্রম। সরকারি বিল ছাড়া অন্য সকল লেনদেন। গত ২২ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের মধ্যে র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্টে ২ জনের করোনা সনাক্ত হয়। কচুয়া সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার ১১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ৮ জনই করোনা আক্রান্ত।
কচুয়া সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার রথীন্দ্র নাথ গাইন বলেন, আমি ও একজন অফিসার ছাড়া অন্য সবাই করোনা আক্রান্ত থাকার কারণে আমরা কাজ করতে পারছি না, তবে যেহেতু জুন মাস সেহেতু আমরা বিভিন্ন সরকারি বিল ছাড়া অন্য সকল লেনদেন আপাতত বন্ধ রেখেছি।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মনি শংকর পাইক নবধারা কে বলেন, করোনা রোগী আমাদের কচুয়ায় এখন বেড়েই চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমি টিকা ২ ডোজ নেওয়ার পরও আবার আমার করোনা হলো। এছাড়া আমাদের আউটডোরের রোগীর প্রায় ৮০% রোগী এখন জ্বর কাশি নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছে। তিনি কচুয়া বাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।