গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা এবং গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৮ নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। তাকে এক মাসের ডিটেনশন দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যার আগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো: সাজেদুর রহমান জেলা শহরের মোহাম্মদপাড়াস্থ নিজ কার্যালয় থেকে মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে,পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গেছে গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম.মাহবুব আলী সোহেলকে ডিটেনসন আইনের আওতায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার ভাতিজা জেলা যুবদল নেতা মো: ইফতেখার ইফতি আলীকেও ডিটেনসন আইনে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। মাহাবুব আলী সোহেল গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এম মনসুর আলীর ছেলে।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান বলেন, মাহবুব আলী সোহেল বিএনপির পরীক্ষিত নেতা। তাকে গ্রেফতার করায় গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। আমরা মাহবুব আলী সোহেল ও তার ভাতিজা মো: ইফতেখার আলী ইফতির মুক্তি চাই। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এভাবে বিনা বিচারে আটক রাখা ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমুলক এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার ৫ জুলাই জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারনে স্থগিত করা হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তার ভাতিজাকেও একই কারনে কারাগারে আটক রাখা হতে পারে।
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো: সাজেদুর রহমানকে গোপালগঞ্জের সাংবাদিকরা জেলা বিএনপি নেতা সোহেলকে গ্রেফতারের কারন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মাহবুব আলী সোহেলকে ডিটেনসন আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলী সোহেলকে গ্রেফতারের ঘটনায় গোপালগঞ্জে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।এ নিয়ে চায়ের দোকানগুলোতে নানামূখী আলোচনা করতে দেখা গেছে।
