যশোর প্রতিনিধি
চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় যশোরের চৌগাছার একটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্র সচিব শিক্ষা বোর্ডের নিয়য়নীতিকে উপেক্ষা করে ওই কেন্দ্রে পার্শ্ববর্তী উপজেলার চার শিক্ষককে ডিউটি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা উপজেলাতে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে কেন্দ্র সচিব বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে তাদের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়েছি।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় চৌগাছায় একাধিক কলেজকে কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এমনই একটি কেন্দ্র হচ্ছে উপজেলা সদর হতে অন্তত ৭/৮ কিলোমিটার দূরে পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজ কেন্দ্র। এই কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৮ জন। ২৩৮ জন পরীক্ষার্থীর জন্য চৌগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ জন শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে তাদের একটি নামের তালিকা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়। পরীক্ষা শুরু হতে নিয়ম মেনেই চলতে থাকে পরীক্ষা। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে বৃহস্পতিবার। এ দিন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা ও শিমুলিয়া কলেজের চার শিক্ষককে সকল নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে চৌগাছার এই কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের সুযোগ করে দেন কেন্দ্র সচিব। তারা হলেন, কায়েমকোলা কলেজের আব্দুল হাকিম ও ওহিদুল ইসলাম এবং শিমুলিয়া কলেজের সোহেল রানা ও কুরবান আলী। তারা কিভাবে কোন নিয়মে চৌগাছার একটি কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। একটি সূত্র বলছে আন্তঃবোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে ২০২৪ সালে চৌগাছার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের পরীক্ষার্থীরা ঝিকরগাছার ছুটিপুর গঙ্গানন্দপুর কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় এবং পাশাপোল আমজামতলা কলেজ পরীক্ষার্থীরা গঙ্গানন্দপুর কলেজে পরীক্ষা দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি পরীক্ষায়ও বজায় রয়েছে। অনেকের ধারণা কলেজ প্রধানরা তাদের পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুযোগ করে দিতে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে পরীক্ষায় এই অনিয়ম করেছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব আশরাফুল আলম বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে তাদেরকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম বজলুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি খবর আমি পেয়েছি, কিভাবে তারা এটি করলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা ইসলাম বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে সকল কলেজের প্রধানদের নিয়ে মিটিং করে কোন কেন্দ্রে কোন কোন কলেজের এবং কতজন করে শিক্ষক ডিউটি করবেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে স্বস্ব কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়। এর বাইরে অন্য উপজেলার কলেজ শিক্ষকরা কি ভাবে ডিউটি করেছে তা আমার জানা নেই, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।