যশোর প্রতিনিধি
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাকে ভোট দিলে আপনাদের দাবি পূরণ হবে এবং সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে তা এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নারীদের স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছিল। সামাজিক নিরাপত্তা কে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে যশোর পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে এক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে শুক্রবার যশোর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ডাঃ নাবিলা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চান, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা মহিলাদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী হোসেন মদন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশকে থমথমে অবস্থার মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল। দেশে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে যারা বিভিন্ন এলাকাকে মুজিবনগর বানিয়েছিল তাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বর্তমানে তারা বিভিন্ন স্থানে নারীদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের মত ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যে দেশে ৫১ শতাংশ নারী সে দেশে নারীদের সকল ক্ষেত্রে দাবি আদায়ের লড়াই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাদক এবং সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিএনপি নেতা অমিত ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘ ষোল বছর মানুষ ভোটের অধিকার আদায়ে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। জেল, জুলুম, হত্যা, নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। মানুষ এখন নতুন একটি বাংলাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংস্কার এবং বিচারের পাশাপাশি একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। সেই সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে।