আর.কে. বাপ্পা, দেবহাটা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার দেবহাটায় এক সংখ্যালঘু অসহায় পরিবারের জমি জবরদখল ও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার বলাই অধিকারীর স্ত্রী আরতি অধিকারী।
আরতি অধিকারী অভিযোগ করেন, দেবহাটা মৌজার বিএস ২৭৪ নম্বর খতিয়ানের ১৯৯৯ দাগে ৪০ শতক জমি তার স্বামী বলাই অধিকারী ও ভাসুর কানাই অধিকারীর নামে রেকর্ডভুক্ত। দীর্ঘ ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে তারা পরিবারসহ ওই জমিতে বসবাস করছেন। তার ভাসুর তার অংশের ২০ শতক জমি বিক্রি করে দিলেও তারা এখনও সেই জমিতে বসবাস করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী মৃত সুলতান গাজীর ছেলে রবিউল গাজী দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, রবিউল ও তার সহযোগীরা আরতি অধিকারীর স্বামী বলাই অধিকারী, ছেলে বিঞ্চু অধিকারী ও পুত্রবধূ সোনালী অধিকারীর নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
আরতী অধিকারী জানান, কয়েক মাস আগে রবিউল তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানালে ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসির নির্দেশে সরকারি সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, রবিউলের কোনো জমি ওই জায়গায় নেই এবং রাস্তা বন্ধ করার সুযোগও নেই। এরপর এসিল্যান্ড রবিউলকে রাস্তা খোলা রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ৩ জুলাই আবারও রবিউল গাজী রাস্তা বন্ধ করে গাছ রোপণ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি তা মানেননি।
আরতি অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, রবিউল গাজী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং সরকারের যাচাই-বাছাইয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তোলাসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর জুলুম চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জমি ও চলাচলের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।