যশোর প্রতিনিধি
সততা, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পুরস্কার পেলেন যশোর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসককে হাতেনাতে ধরার মাধ্যমে তিনি যেমন পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন, তেমনি জনসচেতনতাও বাড়িয়েছেন।
তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরূপ বুধবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর পুলিশ লাইন্সের ডিলশেডে আয়োজিত মাসিক কল্যাণ সভায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করেন যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. আহসান হাবীব, (খ সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুরস্কার প্রদানকালে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, “সোহেল রানার মতো দায়িত্বশীল ও সাহসী পুলিশ সদস্যদের কারণেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরছে পুলিশের প্রতি। তাঁর এমন ভূমিকা গোটা বাহিনীর জন্য গর্বের।”
সোহেল রানা জানান, “একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর আমি একাধিক মাস ধরে নজরদারি চালাই এবং শেষমেশ আব্দুর রহিম রাকিব নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে হাতেনাতে আটক করি।”
তবে এটি ছিল না সোহেল রানার একমাত্র সাফল্য। এর আগে ২২ মে গভীর রাতে, একই হাসপাতাল এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় চৌগাছা উপজেলার ফারুক হোসেন (৩০) নামে এক মোবাইল চোরকে আটক করেন তিনি। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেদিনও তার সাহসিকতা প্রশংসিত হয়েছিল।
যশোর জেলা পুলিশের এই তরুণ সদস্য তার দায়িত্বশীল ও সজাগ ভূমিকার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ বাহিনী সদা প্রস্তুত। সোহেল রানার মতো পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আস্থা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।