Nabadhara
ঢাকাবুধবার , ৯ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নবধারা ডেস্ক
জুলাই ৯, ২০২৫ ১০:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রেস সচিব বলেন, আজ প্রায় ২ ঘণ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মিটিং হয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

শফিকুল আলম বলেন, ভোটের আগে যে কোনো ধরনের ভায়োলেন্সকে যেন প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেটা নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। রিশাপলটা কীভাবে করা হবে, এটা একটা র‌্যান্ডম ওয়েতে করবে।

প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে ডেপ্লয়েড হবে এটা একটা ইস্যু, কোথায় কোথায় ডেপ্লয়েড হবে, আপনারা জানেন যে বর্ডার এরিয়াতে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, সারা দেশের বিভিন্ন রকম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবেন, স্ট্রাইক ফোর্স হিসেবে কীভাবে থাকবেন, সেগুলো নিয়ে আজকের এই মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে আবার নতুন ভোট দেবেন। শেখ হাসিনা আমলের তিন নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সীদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা করা এবং তাদের জন্য নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এটা অবশ্যই লজিস্টিক্যাল একটা বিষয়, সেটা যাতে তারা খতিয়ে দেখেন, এটা কীভাবে এনশিওর করা যায় তা দেখতে বলেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, আনুমানিক ৪৭ হাজার ভোটিং কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায়, সেই নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখার জন্য এবং প্রত্যেকটি কেন্দ্র যাতে সিসি টিভির আওতায় আসে, সেটার একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিসিটিভির মনিটরিংটা যেন ঠিকমতো হয়, সেটার জন্য প্রশিক্ষণ এবং তা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।

তিনি বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে আজকের নির্দেশনা এসেছে।

‘আগে নির্বাচনের সময় চারদিন পুলিশ বা সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন থাকতো। এবার বলা হয়েছে, এটা কীভাবে ৭ দিনের জন্য ডেপ্লয়মেন্ট করা যায়, যাতে ভোটের আগে যে কোনো ধরনের ভায়োলেন্স প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। তিনিও বৈঠকের আলোচনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।