শহুরে জীবনে বেশিরভাগ মানুষই বৃষ্টির দিনটা উপভোগ করেন খিচুড়ি বিলাস করে। কেউ কেউ পছন্দ করেন বৃষ্টিতে ভিজতে। তবে সবাই যে বৃষ্টি দেখলে খুশি হন, মন চঞ্চল হয়ে ওঠে, তা কিন্তু না। বৃষ্টি অনেকের কাছেই বিষন্নতার আরেক রূপ।
বৃষ্টিতে কেন অনেক মানুষ বিষন্নতায় ভোগেন, তার খুব জোরালো কোন উত্তর নেই। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, মেঘলা দিনে রোদের দেখা মেলে না। চারপাশ বেশ অন্ধকার থাকে। এমন দিনে শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এই হরমোন মনকে ভালো রাখা কাজ করে। শরীরে যখন এই ‘হ্যাপি’হরমোন কমে যায় তখন স্বাভাবিক ভাবেই মন-মেজাজ খারাপ থাকবে।
বৃষ্টির দিনে মন ভালো রাখতে কয়েকটি কাজ করা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে কার্যকর যেটা। সেটা হলো বৃষ্টির সময় ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকা যাবে না। এমন করলে মন আরও মন খারাপ থাকবে। তাই মেঘলা দিনে ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও আলো জ্বালিয়ে রাখুন।
অন্ধকারে থাকার সঙ্গে সঙ্গে একা থাকলেও বৃষ্টির দিনে মন খারাপ হতে পারে। একাকিত্ব মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। মন খারাপ হলে একা না থাকাই ভালো। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান। এতে মন খারাপ কেটে যাবে। চাইলে পোষা প্রাণীর সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন।
আষাঢ়-শ্রাবণের দিনগুলোতে যদি একাই থাকতে চান, তবে চেষ্টা করুন পছন্দের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখার। গান শোনা বা গাওয়া, নাচ করা, ছবি আঁকা, বই পড়ার মতো কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে পারেন। আবার বৃষ্টির দিনে মুখরোচক রান্নাও করতে পারেন। পারলে একটু এক্সারসাইজ় করুন। এতে মন খারাপ কেটে যাবে।