তাপস কুমার মজুমদার, স্টাফ রিপোর্টার (ভোলা)
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টানা সাতদিন ধরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ঢাকা-মনপুরা, মনপুরা-মঠবাড়িয়া, তজুমদ্দিন-মহিষখালীসহ মোট ১০টি নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত দুই দিনে জেলায় প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৬.৩ মিলিমিটার। অতিবৃষ্টির ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা, বাজার, রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
নৌপথে চলাচল না থাকায় ভোলা-ইলিশা রুটে চলাচলকারী ফেরিতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। লঞ্চ ও সি-ট্রাক না থাকায় অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন। ফেরিগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার।
নৌবিভাগ সূত্র জানায়, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল শুরুর সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় নৌযোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা বা জরুরি সহায়তা কার্যকরভাবে নিশ্চিত হয়নি। ফলে রোগী ও প্রয়োজনীয় কাজে ভ্রমণকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৃষ্টিপাত ও নদী উত্তাল পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে—সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া বিভাগ।