শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
দেশব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সারা দেশের মতো চিতলমারীতে ও মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। সড়ক গুলি ও বাজারাট ছিল একেবারেই ফাঁকা। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের নেতৃত্বে ছিল ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, যারাই ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের।
৭ দিনের এ কঠোর বিধিনিষেধ বৃহস্পতিবার (১লা জুলাই) ভোর ৬ টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সরকারী -বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ যন্ত্রচালিত সব ধরনের যানবাহন, দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
সরকারের নির্দেশে চিতলমারীতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ও সড়ক পথে ব্যারিগেট দিয়ে এই বিধিনিষেধ মানতে সকলকে বাধ্য করছেন প্রশাসন। বিধিনিষেধ চলাকালীন সময় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বাইরে বের হলেই জরিমানা গুনতে হয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালতে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রীপরিষদের জারী করা প্রজ্ঞপন অনুযায়ী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী নবধারা কে জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি এড়াতে মন্ত্রীপরিষদের নির্দেশে চিতলমারীতে কঠোর লগডাউন বাস্তবায়নে আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করছি। সরকারী এই আদেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।