মশলা হিসেবে হিংয়ের জনপ্রিয়তা বহু প্রাচীন। তবে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর ভালো রাখতেও কার্যকর এই আফগানি মশলা। ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ হিং শরীরের নানা সমস্যায় উপকারী।
আয়ুর্বেদের মতে, হিং মেশানো গরম পানি শরীরের জন্য হতে পারে এক প্রাকৃতিক টনিক। দেখে নিন, সকালে হিং-পানি খেলে কী কী উপকার মিলতে পারে।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
বর্ষাকালে শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, নাক বন্ধ থাকা, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া- এসব সমস্যা খুবই সাধারণ। এই সময়ে গরম পানিতে হিং মিশিয়ে খেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে ও ফুসফুস চাঙ্গা হয়।
রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে বেশি। হিং রক্ত পাতলা রাখতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এর ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে যায়। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও উপকারী এই মশলা।
হজমশক্তি বাড়ায়
হিংয়ের পানি শরীরে বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। হজমের সমস্যা থাকলে এটি হতে পারে দারুণ কার্যকর পানীয়। নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা কিংবা অজীর্ণতা দূর হয়। হজম ঠিক থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়।
ঋতুস্রাবের সমস্যা কমায়
অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে পেশির টান, ব্যথা বা রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা থাকলে উপশমে সাহায্য করতে পারে হিং। প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে অনেকেই হিংয়ের পানি পরামর্শ দেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক
বর্ষাকালে ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। হিংয়ের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতিদিন সকালে হিং মেশানো গরম পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।