Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নওগাঁয় স্ত্রীকে হ/ত্যার দায়ে স্বামীর মৃ/ত্যুদ’ণ্ড

নওগাঁ প্রতিনিধি
জুলাই ২৯, ২০২৫ ২:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইকবাল জামিল চৌধুরী লাকি এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমরেন্দ্রনাথ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আনিছুর রহমান সাকিদারের মেয়ে রাণী বেগমের। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৪০ হাজার টাকা, একটি ভ্যানগাড়ি ও একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। তাদের সংসারে রিফাত নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন মোস্তাফিজ। একপর্যায়ে ছেলে রিফাতের এক বছর বয়সে স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। পরে রাণী বেগম সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

পরবর্তীতে ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাবা আনিছুর রহমান আদালতে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে মেয়েকে আবার মোস্তাফিজুরের সংসারে পাঠান।

কিন্তু এরপরও নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে। মোস্তাফিজুর রহমান ভটভটি কেনার জন্য পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে মোস্তাফিজ কাঠের খাটিয়ার আঘাতে স্ত্রী রাণী বেগমকে হত্যা করেন।

পরদিন রাণীর বাবা আনিছুর রহমান নিয়ামতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করেন।

পিপি অ্যাডভোকেট ইকবাল জামিল চৌধুরী লাকি বলেন, “মামলায় বাদী পক্ষের ১৪ জন এবং আসামিপক্ষের ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার আজ ন্যায় বিচার পেয়েছে। অন্যায়কারীর কোনো ক্ষমা নেই—এই রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।