হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কচুরিপানার নিচ থেকে গৃহবধূ মাইশা আক্তারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও স্বামী মোঃ সোহাগ মিয়া রমজান (২৭) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা—এই দুই ইউনিটের যৌথ অভিযানে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সোহাগ মিয়া রমজান মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাসেম এর পুত্র।
উল্লেখ্য, মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের মোঃ বিল্লাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ মাইশা আক্তার (১৬) এর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মোঃ সোহাগ মিয়া তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মাইশা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের।
গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহাগ ফোনে মাইশার বোনকে জানায়, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করেও মাইশার সন্ধান পায়নি।
অবশেষে ২২ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, কলেজপাড়া এলাকায় সোহাগ মিয়ার বাড়ির পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে একটি মহিলার মৃতদেহ ভাসছে। মাইশার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
তদন্তে জানা যায়, নিহত মাইশা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ তার মরদেহ ও মৃত ভ্রূণ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।