জি. এম. মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)
আশাশুনি উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মরিচ্চাপ ব্রিজ থেকে আমিনের মোড় পর্যন্ত এলজিইডি’র প্রায় আধা কিলোমিটার পিচের সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিদিনই ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি অবহেলিত থেকে গেছে, যদিও রাস্তার দুই পাশে এবং বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঢালাই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মাঝের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অংশটি উপেক্ষিত হওয়ায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টির সময় গর্তগুলো পানিতে ভরে গিয়ে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বিশেষ করে রাশেদ হোসেন খোকার রাইস মিলের সামনের অংশে ৯০০ ফুট জুড়ে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, মোটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইকসহ সকল ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। মাঝেমধ্যে যানবাহন উল্টে যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরা জেলা শহর ও আশপাশের কোলা, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, শ্যামনগরসহ বিভিন্ন উপজেলার যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ সড়কের পাশে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, সেটেলমেন্ট অফিস, রাইস মিল ও চাউলের আড়ত। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত মানুষের যাতায়াত হয়।
স্থানীয় চা বিক্রেতা নুরুজ্জামান বাবু ও বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স বলেন, “গত তিন বছর ধরে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে গর্তে ভরে গেছে। কোনো যানবাহন ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
আশাশুনি বণিক সমিতির সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, “পাইকগাছা, কয়রা, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, দেবহাটা থেকে বড় বড় ট্রাক এই পথে মাল পরিবহন করে। এলজিইডি অফিসে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।”
সোনালী ব্যাংক আশাশুনি শাখার ম্যানেজার নরেশ কুমার মণ্ডল ও সেটেলমেন্ট অফিসের অফিস সহকারী তাহাজ্জত হোসেন জানান, “প্রতিদিন গ্রাহকদের প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে সড়ক সংস্কার জরুরি।”
উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব জানান, “ঘটনাস্থলে জরিপ করতে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তার সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”